ঢাবি ছাত্রীকে ‘যৌন হয়রানির’ প্রতিবাদে ট্রাস্ট পরিবহনের বাস আটক

ট্রাস্ট পরিবহনের এই কর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী

রোববার দুপুরে শাহবাগ থেকে বাসগুলো এনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মলচত্বরে আটকে রাখা হয়। পরে ওই বাসের মালিকদের একজন আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানীর নির্দেশে বাসগুলো শাহবাগ থানায় দেওয়া হয়।
ওই ছাত্রীর সহপাঠী ফিন্যান্স বিভাগের ১৯তম ব্যাচের ছাত্র সাদ্দাম হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের ওই সহপাঠী বৃহস্পতিবার ফার্মগেইট থেকে শাহবাগে আসার পথে ওই বাসে ওঠেন।
“বাসে উঠার পর শাহাবুদ্দিন নামে একজন হেলপার ভাড়া তুলতে গিয়ে তার গায়ে হাত দেন। বিষয়টি খুবই বিব্রতকর মনে হওয়ায় সে হেলপারকে ধমক দেয়, তখন সে পাল্টা জবাব দিলে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমাদের বন্ধু হেলপারের ছবি তুলে বাস থেকে নেমে যায়।
“এ ঘটনায় আজকে আমাদের কয়েকজন জুনিয়র গিয়ে শাহবাগ থেকে চারটি বাস ক্যাম্পাসে নিয়ে আসে। প্রক্টর স্যারের পরামর্শে আমরা বাসগুলো থানায় দিয়ে দিয়েছি। আগামীকাল স্যারের কাছে আমরা লিখিত অভিযোগ দেব।”
বাস ছাড়িয়ে নিতে বিকালে মলচত্বরে আসেন আটকে রাখা দুই বাসের মালিক কামাল হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ওই হেলপারের খোঁজ পাচ্ছি না। তাকে নানাভাবে অনেক খুঁজেছি। তার বিরুদ্ধে আমরাও ব্যবস্থা নেব।”
ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাহেব আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিক্ষার্থীরা বাস আটকে রেখেছেন শুনে আমি মলচত্বরে এসেছি। প্রক্টর স্যারের পরামর্শে বাসগুলো থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
বাসগুলোর বিষয়ে জানতে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
পরে রাত সোয়া ১২টার দিকে শাহবাগ থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই সৌমেন বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি যতটুকু জেনেছি, বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে। এখন থানায় কোনো বাস নেই।”

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
গরমে পরুন সঠিক পোশাক!