খুলনার অভিজ্ঞতায় গাজীপুর নিয়ে নতুন ভাবনায় বিএনপি


খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনে একই তারিখ ১৫ মে ভোটের দিন রেখে তফসিল ঘোষণা ও প্রচার শুরু হলেও মাঝপথে আদালতের আদেশে আটকে যায় গাজীপুরের নির্বাচন। পরে উচ্চ আদালতের আদেশে নির্বাচনের ওপর ওই স্থগিতাদেশ ওঠার পর ২৬ জুন সেখানে নতুন করে ভোটের দিন রেখেছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে নির্ধারিত দিন মঙ্গলবার খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে ৬৬ হাজার ভোটে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক।
এই প্রেক্ষাপটে বুধবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়াপারসনের কার্যালয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপচারিতায় সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, “খুলনার জনগণের সাথে হিপোক্রেসি করেছে তারা (সরকার)। সেখানকার জনগণ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অবশ্যই গাজীপুরের নির্বাচনে নতুন করে ভাবব, নতুন স্ট্র্যাটেজি নেব অথবা সিদ্ধান্ত নেব নতুন করে।”
দলের সব স্তরে আলোচনার মাধ্যমেই নতুন কৌশল নেওয়া হবে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “খুলনার নির্বাচনটা নিঃসন্দেহে ‘আই ওপেনার’। তাই সব মিলিয়ে আমরা চিন্তা করব।”
তাহলে গাজীপুরের নির্বাচনে কি আপনারা অংশ নিচ্ছেন না- এ প্রশ্নের মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা গাজীপুরের নির্বাচনে যাবে না-এটা আমরা বলছি না। আমরা বলছি যে, এই নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় ও এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব না। এটা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।
“যাব কি যাব না-বহু রাজনৈতিক কৌশল আছে, বহু রাজনৈতিক প্রশ্ন আছে। সেটা আমরা আলোচনা করে বসে সিদ্ধান্ত নেব।”
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, “খুলনায় ক্ষমতাসীনরা যেভাবে নির্বাচন করছে-এটা নতুন কৌশল। কৌশলটা একেবারে নতুন। দৃশ্যত ভালো, সুন্দর, শান্ত; ভেতরে সব কিছু গোলমাল হয়ে যাচ্ছে।
“কীভাবে করেছে? ভয়-ভীতি, ত্রাস সৃষ্টি করে সেখানে একটি ক্ষেত্র তৈরি করেছে তারা।”
খুলনায় অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ধানের শীষের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু এক লাখ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হতেন বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট